চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২৩ শতাংশ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।
ইপিবি এর তথ্য মতে, চলতি বছরের জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক পণ্য আমদানি ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে রপ্তানি বেড়েছে, এটা ভালো খবর। কিন্তু বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি খুচরা ব্যবসাকে প্রভাবিত করছে। এ কারণে আগামী মাস থেকে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ বেশ কয়েকটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড বিক্রয় এবং অবিক্রীত স্টক হ্রাসে ভুগছে, তাই তারা এখন অর্ডার এবং উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছে। তাই শিল্পটি সামনে আরেকটি অশান্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
ইপিবির তথ্য মতে, ইউরোপের বাজারের মধ্যে জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। স্পেনের বাজারে ২৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। ফ্রান্সে রপ্তানি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এছাড়া ইইউ’র অন্যান্য দেশেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ইপিবির আরো জানায়, ইউরোপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত দুই মাসে ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা যুক্তরাজ্যে পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। কানাডায় পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮দশমিক ৪৯ শতাংশ। ইপিবির তথ্য বলছে, গত দুই মাসে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ ১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের পৌঁছেছে। অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে রপ্তানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ, আর ভারতে রপ্তানি বেড়েছে ৯৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে এ সময়ে রাশিয়া ও চীনে রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ৫৮ দশমিক ২৯ এবং ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।